Bangladesh
Awami League captures Barishal,Rajshahi, BNP dominates in Sylhet
অন্যদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় এ সিটির ফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে আরিফুলের বিজয একপ্রকার নিশ্চিত।
বিগত নির্বাচনেও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। ফলে সারা দেশে সবকটি সিটি কর্পোরেশন আওয়ামী লীগ উদ্ধার করতে পারলেও ব্যতিক্রম সিলেট ও রংপুর।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রাার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ১৩৮টি যার মধ্যে দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়।
রাজশাহী সিটির ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। মোট ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৩ জন নারী এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন। মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চারজন দলীয় প্রতীকে এবং একজন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন। মেয়র পদে অপর তিন প্রতিদ্বন্দী হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিও হাবিবুর রহমান ও গণসংহতি আন্দোলন সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ মোর্শেদ।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০৭টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৩৫৩ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার ১৩ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
এ নির্বাচনে ১৫টি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনিয়মের কারণে রিটার্নিং অফিসারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ১৩২টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া ঘোষিত ফলে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬টি ভোট। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। আরিফুল হক চৌধুরী এগিয়ে রয়েছেন ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে। দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় এ সিটির ফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
