Bangladesh

Arif,Sabrina kept face to face in remand, start blame game
Amirul Momenin

Arif,Sabrina kept face to face in remand, start blame game

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 16 Jul 2020, 08:03 am
ঢাকা, জুলাই ১৬ : ডিবির রিমান্ডে বুধবার সন্ধ্যায় একদফা মুখোমুখি করা হয়েছিল জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক (বরখাস্ত) ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে।

এসময় সাবরিনা বলেন, আরিফের জন্যই আজ তার এই অবস্থা। জেকেজির করোনা রিপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা দাবি করেন, জেকেজি ও ওভাল গ্রুপের অনেকেই এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। আরিফ চৌধুরীর এই কর্মকাণ্ড এবং ব্যক্তিগত হয়রানির কারণে তিনি তাকে ডিভোর্সও দিয়েছেন। তবে আরিফ বলেছেন, সাবরিনার কারণে এই অপকর্মে জড়িয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) আবার তাদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


এদিকে বৃহস্পতিবার ডিবি জানায়, উভয়েই জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এজন্য তারা একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়েছেন।

এদিন দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, আরিফ ও সাবরিনা করোনাকে কেন্দ্র করে তাদের জেকেজি হেলথ কেয়ারের ভুয়া রিপোর্টের কথা স্বীকার করলেও কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সেটা বলেননি।


আব্দুল বাতেন বলেন, কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে সেটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সাবরিনার তিন দিনের রিমান্ড শেষ হবে আজ। প্রয়োজনে সাবরিনাকে আবার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর ৪টি মামলা করা হয় তেজগাঁও থানায়। আর গত রোববার সাবরিনাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও ডিসি অফিসে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।


পুলিশ জানায়, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার রোগীকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০টি প্রতিবেদন তৈরি করা হয় জেকেজি কর্মীদের ল্যাপটপে। যার মাধ্যমে জেকেজি হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের কথা থাকলেও প্রতিটি পরীক্ষার জন্য নেয়া হতো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ১০০ ডলার।